ব্যাটারির সমস্যা সমাধানে ৮ স্মার্টফোন
স্মার্টফোন মানেই হচ্ছে অনেক ফিচার, অনেক অ্যাপের ব্যবহার, গেম, ইউটিউব, এটা সেটা অনেক কিছু। তবে স্মার্টফোনের এসবের ভালো সুবিধা আপনি তখনই পাবেন যখন আপনার মোবাইলে চার্জ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না।
সাধারণত স্মার্টফোনগুলোতে চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়। এজন্য কেনার সময় ব্যাটারি ব্যাকআপের বিষয়টি মাথায় রেখে কিনতে হয়। আর নির্মাতা বা দোকানিরা স্মার্টফোন বিক্রির সময় বলে থাকেন মোবাইলে একবার চার্জ দিলে লম্বা সময় চার্জ থাকবে। তবে সেই লম্বা সময় কতক্ষণ সেটা কিন্তু কেউ জানে না।
তাই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে স্মার্টফোন প্রেমীদের জন্য ব্যাটারির ভালো ব্যাকআপ দিবে এই সংক্রান্ত কয়েকটি স্মার্টফোনের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো। আসুন তাহলে দেখে নেই স্মার্টফোনগুলো আর লুফে নিন আপনার পছন্দের ব্রান্ড বা মডেল।
শাওমি রেডমি ৩এস:
এই স্মার্টফোন সর্বোচ্চ ব্যবহারের পরও দু’দিন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিবে। কারণ এতে রয়েছে ৪১০০০ এমএএইচ’র বিশাল ব্যাটারি। এই ফোনের ওজন ১৪৪ গ্রাম, ৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে, অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ প্রসেসর, দুই জিবি র্যাম এবং ১৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এতে পাবেন ১৩ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এটি কিনতে লাগবে প্রায় ৮ হাজার ৮৪৩ টাকা।
প্যানাসনিক এলুগা এ২:
এই মডেলের স্মার্টফোনটির এর বৈশিষ্ট্য ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে রয়েছে। আর ওজন হবে ১৬৭ গ্রাম। এছাড়া রয়েছে ১ গিগাহার্জের চতুর্কোণ কোর প্রসেসরসহ এতে ৩ জিবি র্যাম এবং ১৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে।
এতে আরো পাবেন ৮ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। ফোর জি ভোল্ট এবং মাইক্রোএসডি স্লট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ এ চলে। স্মার্টফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ৯ হাজার ৯৮১ টাকা।
শাওমি রেডমি নোট৩:
এই চায়না সেটটির দাম ১২ হাজার ৬৩৪ টাকা। এই দামের মধ্যে এটাই প্রথম স্মার্টফোন, যেখানে ৪০০০ এমএএইচ’র বিশাল ব্যাটারি রয়েছে। পুরোটাই ধাতুর তৈরি এই মোবাইলে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন ৬৫০ প্রসেসর, ২/৩জিবি র্যাম, ১৬/৩২জিবি স্টোরেজ, ১৬ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া ৪জি ভোল্ট সংযুক্তি করা।
ইনটেক্স ক্লাউড এস৯:
এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৩,৬৫০এমএএইচ ব্যাটারি। টকটাইমে এর ব্যাটারি ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দেয়। কম দামি ফোনের মধ্যে বড় ব্যাটারি বলা চলে। ৫.৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে, ফোর-জি এবং ভোল্ট সাপোর্ট দেবে।
এতে ১.৩ গিগাহার্জের চতুর্কোণ কোর এমটি ৬৭৩৭ প্রসেসর, ২ জিবি র্যাম, ১৬ জিবি স্টোরেজ, ৮এমপি রেয়ার এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। এটি কিনতে দাম পড়বে ৮ হাজার ২১২ টাকা।
কোলপেড নোট ৫:
বর্তমান বাজার মূল্য ১৩ হাজার ৮৯৮ টাকা। ৪ জিবি র্যামের মধ্যে এটা সবচেয়ে সস্তা স্মার্টফোন। এতে ৪০১০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। পুরো একদিন চার্জ থাকবে। ৫.৫ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে, পুরোটা ধাতুর তৈরি এবং অ্যানড্রয়েড ৬.০ এ চলে।
এছাড়া ওকটা-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৬১৭ প্রসেসর, ৩২জিবি র্যাম স্টোরেজ, ১৩ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
ইউ ইউনিকর্ন:
এর বর্তমান বাজারমূল্য ১৫ হাজার ১৬১ টাকা। কোলপেড নোট ৫ এর আগে ৪ জিবি র্যামের মধ্যে এটাই সবচেয়ে সস্তা স্মার্টফোন ছিল। ফোনটি একটি স্টক ইউজার ইন্টারফেসের কাছাকাছি চলে। এতে রয়েছে ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। হার্ডওয়ারে ১.৮ গিগাহার্জ ওকটা-কোর প্রসেসর এবং ৩২ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। ১৩ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এছাড়া এই স্মার্টফোনটি ৪জি সাপোর্ট করে।
শাওমি মাই মেক্স:
বাজারে এর বর্তমান মূল্য ১৮ হাজার ৯৫২ টাকা। ৬.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে’র (১৯২০x১০৮০ পিক্সেল) মধ্যে বর্তমানে কম মূল্য ও সহজলভ্য স্মার্টফোন এটি। এতে ৪,৮৫০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। রেডমি নোট ৩ এর মতো স্ন্যাপড্রাগন ৬৫০ প্রসেসর, ৩ জিবি র্যাম, ৩২জিবি স্টোরেজ এবং ১৬ মেগাপিক্সেল রেয়ার ও ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
লেনোভো জেড ২ প্লাস:
এর বর্তমান বাজারমূল্য ২২ হাজার ৭৪৩ টাকা। লেনোভো ফ্ল্যাশশিপ ফোনটি ক্যুয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর এবং ৩ জিবি র্যাম দ্বারা পরিচালিত। ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লেসহ এর রয়েছে ৩৫০০ এমএএইচ’র বিশাল ব্যাটারি। এই মোবাইলে আপনি পাবেন ১৩ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া ডুয়েল সিম ইউএসবি-সি পোর্ট এবং ৩২জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে।