ইসলামে নারী।
নিউইয়র্ক থেকে ড ওমর ফারুক। তারিখঃ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮।।
*আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘোষণা করেন, পিতামাতা ও নিকটজনের ত্যাজ্য সম্পদে পুরুষ যেমনি অংশ পায়, নারীদেরও তেমনি অংশ রয়েছে, যা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত অংশ।
*রাসূল (সঃ) ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষেণে ঘোষণা করেছেন- স্ত্রীদের উপর স্বামীদের য়েমন অধিকার রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ওপর স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। ইসলামি বিধি বিধান পালন পুরুষের জন্য আবশ্যক, নারীর জন্যও আবশ্যক।
‘বিদ্যার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ।’ অনেক মহিলা সাহাবি রয়েছেন, যারা বিজ্ঞ আলেম ও হাদিস বর্ণনাকারী । নবী (সঃ) যুগেও পরবর্তী যুগে মুসলিম যোদ্ধাদের সঙ্গে নারীরা যুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত। সাধারণতঃ তারা আহতদের সেবায় বেশি ভূমিকা রাখত। হজরত আলী (রাঃ) এর খেলাফতের সময় জঙ্গে জামাল নামক যুদ্ধে এক পক্ষের সেনাপতি হিসেবে নবী (সঃ) এর স্ত্রী উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা (রাঃ) যুদ্ধে পরিচালনা করেছিলেন। বাইরে রোদ-বৃষ্টি ও ঝামেলার কাজের চেয়ে গৃহের কাজ নারীর জন্য বাস্তবে বেশি উপযোগী। তাই বলে বাইরের কাজ নারীর জন্য ইসলাম নিষেধ করে নি। একটি জাতি তখনই সমৃদ্ধশালী ও আল্লাহর পছন্দমত গোলাম হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, যদি তাদের প্রতিপালন মায়ের পরিচর্যায় সুচারুরুপে হয়। সন্তানের প্রতিপালন মায়ের চেয়ে বেশি বাবা কোন কালেই পারবেন না। আল্লাহ তায়ালা সে রকম ভাবে মাখলুকাত সৃষ্টি করলেন। ইসলামই নয়, খোদ নেপোলিয়ান বোনাপোর্টও বললেন, ইসলামের সুরেই, “আমাকে একজন ভাল ও সুশিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের সমৃদ্ধশালী জাতি উপহার দেব।” ইসলাম আবির্ভাবের আগে জাহেলি যুগে নারীরা ছিল চরমভাবে নিপীড়িত। নারী ভোগ্যেপণ্য হিসেবে ব্যবহৃতহতো,নির্যাতন,অপহরণ,ধর্ষণ এমন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল যাতেকন্যাসন্তান জম্মদানে আতম্কিত অভিভাবক অনেক সময় তাদের জীবন্ত কবর দিত। সম্পদে নারীরদের উত্তরাধিকার ছিল না। ইসলাম আবির্ভাবের পর নারীরা ইসলামী বিধান অনুযায়ী তাদের ন্যায্য অধিকার পেল।
Women are not oppressed in Islam. Any Muslim Man that oppresses woman is not following Islam. Among the many teachings of Muhammed (pbuh) that protected the rights and dignity of women is his saying: the best among you are those who treat their wives well.
বিধি বিধান জানা না থাকলে কিভাবে মানবে। তিনি কিভাবে সন্তানদেরকেও বা কিভাবে শিক্ষা দেবেন? তাই ইসলামে নারী শিক্ষায় যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণা করেছেন- বিদ্যার্জন প্রতেক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ।’ অনেক মহিলা সাহাবি রয়েছেন হাদিস বর্ণনাকারী হিসেবে। অর্থাৎ অনেক নারী সাহাবী ছিলেন বিজ্ঞ আলেম। মা আয়েশা (রাঃ) ত অনেক বড় আলেম ছিলেন। তিনি আল্লাহর রাসুলের বহু হাদীস বর্ণনাকারী। নবী (সঃ) যুগেও পরবর্তী যুগে মুসলিম যোদ্ধাদের সঙ্গে নারীরা যুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত। সাধারনত তারা আহতদের সেবায় বেশি ভূমিকা রাখত।হজরত আরী (রাঃ) এর খেলাপতের সময় জঙ্গে জামাল নামক যুদ্ধে একপক্ষের সেনাপতি হিসেবে নবী (সঃ) এর স্ত্রী হজরত আয়েশা (রাঃ) যুদ্ধে পরিচালনা করেছিলেন। বাইরে রোদ-বৃষ্টি ও ঝামেলার কাজের চেয়ে গৃহের কাজ নারীর জন্য বাস্তবে বেশি উপযোগী। তাই বলে বাইরের কাজ নারীর জন্য ইসলাম নিষেধ করেনি। যেহেতু নারী –পুরুষ পরষ্পরের আকর্ষণ চিরন্তন, তাই বাইরে বের বেরুনোর সময় নিজের নিরাপত্তা জন্য শালীন পোশাক পরে বের হতে বলা হয়েছে।
*আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘোষণা করেন, তারা যেন জাহেলি যুগের মত সাজসজ্জা করে বাইরে বের না হয়। (সূরা আহজাবঃ ৩৩)