সংস্কার নিয়ে মতভেদ জামায়াত কীভাবে নিরসন করবে?

February 18, 2019 9:17 pm0 commentsViews: 23

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সংস্কার এবং ১৯৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধিতা জন্যে ক্ষমা না চাওয়ায় গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন দলটির অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

এরপরই সংস্কার প্রস্তাব যাতে মাথাচাড়া না দেয়, দল থেকে বরখাস্ত করা হয় আরেক কেন্দ্রীয় নেতাকেও। তখন থেকেই ভীষণভাবে আলোচনায় এসেছে দেশটির মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত দলটির সংস্কার নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে দলটির ভেতরের মতভেদ কীভাবে কমবে?

দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ কি ভেতরের দ্বন্দ্ব আরো বাড়িয়ে দিল?

জামায়াতকে কতটা নাড়া দিয়েছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক

‘পদত্যাগ করা যেকোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার’

জামায়াত বিলুপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে রাজ্জাকের পদত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর আলী রিয়াজ বলছেন যে, দ্বন্দ্ব বেড়েছে কি-না সেটি বুঝতে আরও সময় লাগবে তবে ২০০১ সাল থেকে পারস্পারিক ভিন্নমতগুলো সেগুলো এখন অনেক বেশি খোলামেলা হয়ে দাঁড়াল।

“২০০১ সালের পর থেকে জামায়াতের ভেতরে সংস্কার ১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে যখন কথা হচ্ছিলো তখন সেটি বাইরে বলার মতো লোক ছিল না।”

“আব্দুর রাজ্জাক বা মুজিবুর রহমান যা বলছেন তাতে তাদের প্রশ্ন করা যাচ্ছে। তারা এই সংস্কারের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারছেন, যা দলটিতে আগে ছিলোনা। এখন কর্মী সমর্থকরা একটি ব্যাখ্যা পাচ্ছেন,” এমনটাই মনে করছেন অধ্যাপক রিয়াজ।

তিনি বলেন, এখন বিষয়টি নিয়ে দল ও দলের বাইরে এসব বিষয়ে কথা বলার পরিস্থিতি তৈরি হল।

“সংস্কারের প্রস্তাব জামায়াত গ্রহণ করতে পারে বা তারা হয়তো কিছুই নেবে না। তা নাহলে রাজনীতি থেকে সরে আসা – এমন অনেক বিকল্প আছে।”

মিস্টার রিয়াজ মনে করেন না যে আব্দুর রাজ্জাক বা অন্যরা যে সংস্কারের কথা বলছে সেটি নেতৃত্বে যারা আছে তারা সেটি গ্রহণ করবে।

মিসর ও তিউনিসিয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন তিউনিসিয়ায় আদর্শিক সংস্কার হয়েছে। আবার রাজনীতি থেকে সরে এসে সামাজিক কাজে জড়িত হয়েছিল মুসলিম ব্রাদারহুড। তারা এখনও করেছে। হেজবুল্লাহ ও হামাস এটি করেছে।

“জামায়াতের বিষয়ে প্রশ্ন হল ৭১ এর বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ই নয়। সংস্কারের বিষয়টা তাদের আদর্শিক অবস্থানের পরিবর্তন।”

“জামায়াত নেতারা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিলে সেটি কোন সংস্কার। তাহলে মওদুদীর যে পথ, তা থেকে সরে আসতে হবে তাদের। সেটি করবেন কি-না – এসব আলোচনা আগেই হওয়া উচিত ছিল। বহু ইসলামপন্থী দল এটি করেছে, কিন্তু জামায়াত সেটি আগে করে নি”।

মিস্টার রিয়াজ বলেন, শুধুমাত্র সাংগঠনিক সংস্কারে জামায়াত গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে হয় না। সূত্রঃ বিবিসি

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 1366 White Plains Road, Apt. 1J, The Bronx, New York-10462

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com